দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি-৮৩৬) সংবাদদাতাঃ
খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার দীঘিনালায় বাবুছড়া এলাকায় গভীর রাতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেকের ছেলে আহত ও স্ত্রী নিহত হয়েছে। এঘটনায় আজ শোকের দিনেও যেন, শোক নেমে এসেছে দীঘিনালাবাসীর মাঝে। জানা যায়, ১৫ আগস্ট রাত ১.৩০ ঘটিকায় দীঘিনালা বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ অাবদুল মালেকের বাড়ীতে ঘুমন্ত পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। এই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি ২০/২৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়, গুলি থেকে মালেক প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪০) নিহত হয় এবং আহত হয় ছেলে মো: আহাদ(১১)। আব্দুল মালেক ছিলেন সোনা মিয়া টিলার (৮১২ পরিবারের) ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি। এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা কর্মীরা। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের দীঘিনালা উপজেলার নেতাকর্মীরা, সংগঠনের উপজেলা নেতাকর্মীরা বলেন, ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ, আব্দুল মালেক ছিল এই ভূমিহারা পরিবারের নেতা,সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মোঃ অাবদুল মালেক ভাইকে হত্যা করতে পারলে বাঙ্গালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাঁধা থাকবেনা। ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে,তারা আরো দাবী করেন সোনা মিয়া টিলার বাঙ্গালীদের জায়গা দ্রুত বাঙ্গালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে। (শনিবার) বিকাল ৩ঃ০০ ঘটিকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা কর্মীরা চিরনি অভিযান করে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবীতে মানবন্ধন করেন। অভিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে কঠিন আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তাঁরা।