রাজবাড়ী জেলার নবীন-প্রবীন নেতারা, সম্পাদক হিসাবে টিপু কে চায়

রাজবাড়ী জেলার নবীন-প্রবীন নেতারা, সম্পাদক হিসাবে টিপু কে চায়

241568085 1013421836160670 6244850955019054736 N

শামিম বিশ্বাস রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃআইডি নংঃ ১০১৫
আগামী ১৬ অক্টোবর (শনিবার) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের এ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কে হবে এবারের সাধারণ সম্পাদক ? ইরাদত কাজী নাকি শেখ সোহেল রানা টিপু । তবে অকপটে শোনা যাচ্ছে টিপু কেই চায় তৃণমূল নেতারা।
এই সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে হেভিওয়েট প্রার্থী শেখ সোহেল রানা টিপু। জেলা আওয়ামী লীগের নবীন-প্রবীণ নেতাদের আলোচনায় বার বারই উঠে আসছে টিপুট নাম।
গ্রামগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে সবখানে এখন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সবাই তাকিয়ে আছে নতুন মুখের সম্ভাবনায়।
সবার একটাই চাওয়া স্বচ্ছ নিরপেক্ষ ও আদর্শবান নেতাকেই বানানো হোক জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক।
জেলার বিভিন্ন জায়গায় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, সবার চাওয়াই যখন নতুন মুখের তখন আলোচনার শীর্ষে থাকতেই পারে শেখ সোহেল রানা টিপু। জেলার এক বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন টিপু সাবেক সাধারন সম্পাদক কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ।সাবেক সভাপতি ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে থেকে দক্ষতা সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁর গুরু দায়িত্ব পালন করেছে, তার হাতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তুলে দিলে জেলা আওয়ামী লীগ আরো সুসংগঠিত হবে।
টিপু বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার হাতে রাজবাড়ী জেলার দায়িত্ব তুলে দেন তাহলে আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগ আরো সুসংগঠিত করার চেষ্টা করবো। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো।
এর আগে (২০১৫) সালে (বুধবার) রেলওয়ে মাঠে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমকে সভাপতি ও কাজী এরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। জেলা জুড়ে আওয়ামী লীগের নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে উঠছে উদ্বেগ। কে হবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক । আগামী জেলা কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তৃণমূল থেকে বার বার নাম উঠে আসছে ১/১১ ছাত্র নেতা সাবেক সাধারন সম্পাদক কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে সবকিছু থমকে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ সোহেল রানা টিপু। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়তা। সাধারণ মানুষ, চা বিক্রেতাসহ সকল শ্রেণির পেশার মানুষকে সাহায্য করেছেন। রাজবাড়ী জেলায় তার জনপ্রিয়তা বর্ষার ভরা যৌবনের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে। তার মহাত্ব, মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়।
এই মহৎ দানবীর রাজনৈতিক ব্যক্তি ১/১১ সময় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
আসন্ন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে, জেলার আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের তৃনমুলের দুঃসময়ে হামলা, মামলা, জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের স্বীকার ও রাজবাড়ী জেলার নির্যাতিত ব্যানারে নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় শেখ সোহেল রানা টিপু কে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলেন, বর্তমান জেলা কমিটি শীর্ষ নেতাদের কারণে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশ ঘটেছে যা দুঃখজনক। আমাদের দাবী বর্তমান কমিটির শীর্ষ পদের পরিবর্তন আসুক।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan