রাজবাড়ীর পাংশা বউপজেলার পরিচিত মুখ। ক্ষুদ্র ন একজন রাজনৈতিক নেতা; এখন পর্যন্ত দলের৷ জনপ্রতিনিধি হননি তিনি। তবু সুফল মাহমুদ জনদরদি। পাড়া-মহল্লার সবার৷ চোখের৷ মণি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুফল মাহমুদ। পাশাপাশি নিজ ইউনিয়ন কসবামাজাইল ও পাংশা উপজেলার মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন শাহ পরিবারের দূর সাহসী এই সন্তান। মানবতার ফেরিওয়ালা, সোনালী সমাজ বিনির্মানের অগ্রপথিক সুফল মাহমুদ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের শাহ বাড়ির সন্তান। সুফল মাহমুদের দাদা শাহ লুৎফর রহমান, ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ সালে চেয়ারম্যান ছিলেন। শাহ লুৎফর রহমান, কশবামাজাইল ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন পাট্টা ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশই ছিল এই ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৬২ সালে উনি এম,এন,এ পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি ইংরেজি, আরবী, ফার্সি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার একজন কৃতি সন্তান ছিলেন। শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের চাচা, রাজবাড়ী জেলার গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উজ্জ্বল নক্ষত্র, এবার ও সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে থাকা পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের কৃতি সন্তান লেঃ জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জুয়েল। এছাড়া অন্য চাচা ফুপুরা সবাই সুশিক্ষিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত। কয়েকজন আমেরিকা, হংকং, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ ১৯৮৯ সালে ভাতশালার শাহ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। কুষ্টিয়া শহরে তার বেড়ে ওঠা। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সুফল মাহমুদ ২০০৮ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এস,এস,সি এবং ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে ২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচ,এস,সি পাশ করে। পরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বি.বি.এ এবং এম.বি.এ শেষ করে। বর্তমানে তিনি প্রাইম ব্যাংকে চাকরিরত রয়েছেন। অত্যন্ত দক্ষতা, সততা, সফলতা ও পারদর্শীতার সাথে চাকরি করে আসছেন। এছাড়াও করোনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ কে সচেতন করে তুলছেন বিভিন্ন সচেতনতামুলক উপদেশ ও নির্দেশনার মাধ্যমে। করোনায় আর্থিকভাবে বিকল হয়ে পড়া মানুষকে প্রদান করেছেন আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা। বেশ কয়েকটি পরিবারকে দিয়েছে খাদ্য সহায়তা তার অর্জিত অর্থের একটি অংশ ব্যয় করেন নিজ ইউনিয়ন সহ ভিবিন্ন এলাকার দুঃস্থ গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে। বলছিলাম একজন মানবপ্রেমী মানুষের গল্প, যিনি চাকরির পাশাপাশি জনগণের চাওয়া থেকেই এবার প্রার্থী হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।এ ব্যাপারে কথা হয় শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের সাথে। তিনি জানান এবার আসন্ন নির্বাচনে ১০ নং কসবামাজাইল ইউনিয়নে প্রার্থী হচ্ছি। কসবামজাইল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও ভোটারদের চাওয়াতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি। সেখানকার সাধারণ মানুষ আমাকে চায়, আমিও চাই আমার দাদার মতই আমিও এলাকার সুখী দুখী মানুষের পাশে থাকে আমার দাদার মতই মানুষের সেবা করতে। আমি সবার কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করি। তিনি আরো বলেন, মানুষের জন্য মানবতা, মানবতার জন্যই মানুষ, অসহায় এবং বঞ্চিত মানুষের উপকারে নিজেকে আত্মনিবেদন করার এবং অন্যকে এতে উৎসাহিত করার। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি প্রাণ বাঁচে, একজন মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমি, আপনি, এভাবেই এগিয়ে আসতে পারি সকলেই দাঁড়াতে পারি বিপদে মানুষের পাশে। আমরা অনেক মানুষ আছি, আমাদের বিবেক আছে ঘুমিয়ে। সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা স্বপ্ন দেখেন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করার বললেন শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ।