করাত কল বন্ধ শ্রমিকের মাথায় হাত

করাত কল বন্ধ শ্রমিকের মাথায় হাত

273300668 4609550672489224 3774487137710725088 N

সুমন রেয়াজী ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি।আইডি৪৪২: নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সকল (পৌরসভা ব্যতীত) করাতকল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মাথায় হাত পড়েছে। এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকরা সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যা উপার্জন করে তাই দিয়ে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বন বিভাগের তথ্য মতে ডোমার উপজেলায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি করাত কল রয়েছে এবং এর সাথে প্রায় এক হাজার শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছে তথা ১০০০ টি পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছে শুধু তাই নয় এর সাথে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন করাত কল মিল মালিকের পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছে ।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো হঠাৎ করে বন বিভাগের লোকজন এসে এই করাত কল গুলো কোন পূর্ব নোটিশ দর্শানো ছাড়াই বন্ধ করে দেয় এবং সিলগালা করে দিয়ে নোটিশ টানিয়ে দিয়ে কলের হুইল নিয়ে চলে যায়। যার ফলশ্রুতিতে এই শ্রমিক পরিবারগুলো অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে তাদের দুঃখের সীমা নাই। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঙ্গা পীর সাহেবের হাট এ অবস্থিত নুর হকের করাতকলে গেলে দেখা যায় শ্রমিকেরা মাথায় হাত দিয়ে অলসভাবে বসে আছে তাদেরই একজন শ্রী চিনু রায় জানায় “ভাই হামরা অনেক দিন থাকি না খেয়া আছি আর কত দিন না খেয়া থাকিমো” হামার কাম কাজ বন্ধ করে দিছে সরকার হামরা কেমন করি বাচিমো”। তাদের প্রশ্ন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বনবিভাগ কেন তাদের করাতকল গুলো বন্ধ করে দিল শুধু তাই নয় বনবিভাগ নাকি তাদের নামে মামলা ও দিবে এই ভয়ে তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন যাপন করতেছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ ডোমার রেঞ্জ এর সাথে কথা হলে তাদেরই একজন জনাব আতাউর রহমান (পদবী বলতে অনিচ্ছুক) জানান , সারা দেশেই এই অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে তারই অংশ হিসেবে ডোমার উপজেলার সকল করাতকল বন্ধের অভিযান চলছে এবং খুব শীঘ্রই সবগুলো করাত কল বন্ধ হয়ে যাবে ।এর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, এই করাত কল গুলো সরকারি কোনো নিয়মনীতি না মেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এদের একটারও লাইসেন্স নেই, তিনি আরও জানান সরকারি নিয়ম রয়েছে বন বিভাগের দশ কিলোমিটারের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক সীমানার দুই কিলোমিটার মধ্যে কোন করাতকল স্থাপন করা যাবে না। উনাকে যখন প্রশ্ন করা হলো এই করাতকল গুলো তাহলে এত দীর্ঘ সময় কিভাবে চলল এব্যাপারে তিনি কোন যথোপযুক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে উনার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বন কর্মকর্তা জনাব উজ্জ্বল হোসেনের সাথে কথা বলতে বলেন। বন কর্মকর্তা জনাব উজ্জল হোসেন উপস্থিত না থাকায় তাঁর ফোন নম্বরে কল করা হলেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এমত অবস্থায় করাত কল মিল মালিক ও শ্রমিকরা এই ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan