লকডাউনের প্রথমদিনে জনশূন্য চট্টগ্রাম নগরী

লকডাউনের প্রথমদিনে জনশূন্য চট্টগ্রাম নগরী

171555425 4514545828562062 1925152316404989500 N

মোঃ মহিউদ্দিন ফারুকী আইডি নং – ৯১৮ চট্টগ্রাম রিপোর্টার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা বাংলাদেশে ন্যায় চট্টগ্রাম নগরীতে ও আজ ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ আগামী আটদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আজ ১৪ এপ্রিল ( বুধবার) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম সড়ক বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা সহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকা পুরোপুরি জনশূন্য রয়েছে এবং নগরীর রাস্তাঘাটে রিক্সা, আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, আ্যাম্বুলেন্স ও খাদ্যদ্রব্য বহনকারী গাড়ী ব্যাতীত তেমনকোন যানবাহন নেই, নেই জনমানুষের কোলাহল। দ্বিতীয়দফা কঠোর লকডাউনে নগর এবং আন্তজেলা সড়ক মহাসড়কে নেই কোনো যানবাহন। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) আবু বকর সিদ্দিক জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। সীমিত পরিসরে দেয়া হচ্ছে ব্যাংকিং সেবা।
এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যদি কেনা-বেচা করা যাবে ৬ ঘণ্টা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ১৩ দফা বিধিনিষেধ সংবলিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসহ (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া) অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মী এবং যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan