রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়না কুটির কচুটারি নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম। পরিচয় এর সময় রাহেনুল তার ছদ্মনাম রাজু বলে ওই ছাত্রীকে জানায়।
প্রেমের সম্পর্ক ধরে ওই ছাত্রীকে গত ২৩ শে অক্টোবর সিগারেট কোম্পানি ক্যাদারের পুল ডাঃ শহীদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা এর বাসায় নিয়ে যেয়ে রাহেনুল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে ২৪ শে অক্টোবর রাতে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভী আক্তার এর সহায়তায় বাবুল কালাম তাকে গণধর্ষণ করেন।
রংপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডিবি এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু সহ দুই নারীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার ৪নভেম্বর দুপুরে রংপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী শুনানি শেষে রাহেনুলের ৫ ও সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভী আক্তার ওরফে সমাপ্তির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ২৯ শে অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত রাহেনুল কে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
ঐদিনে দুই নারীকে ও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এদিকে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন তিনি বলেন অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
বিচারক এএসআই রাহেনুল ইসলামের পাঁচ দিন এবং দুই নারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এই মামলায় গ্রেফতার আরো দুই আসামি বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ধারায় আদালতে জবাব বন্দি দিয়েছেন তাদের দুজনকে কারাগারে রাখা হয়েছে।