সাংবাদিক তানভির তারেক আফসানা মিমিকে প্রশ্ন করেছিলেন,
শমী- বিপাশা কি বিখ্যাত বাবার সন্তান হবার কারনে বেশি সুযোগ পেতেন।
মিমি জবাবে বলেন,
তাদের যোগ্যতা দিয়েই তারা তাদের অবস্থান গড়েছেন।
আসলেই তাই।
৯০ এর ৫ জন অভিনেত্রীদের মধ্যে শমী, বিপাশা, মিমি, বিজরী ও তমালিকার নাম উল্লেখযোগ্য।
মিমি টিভিতে অভিষেকের আগেই বিয়ে করেন।
সংসার, পড়াশুনা সামলিয়ে নাটকে সময় দিতেন।
মাঝে সংসারে ভাঙন এলোমেলো করে দেয় মিমির উঠতি ক্যারিয়ার।
তমালিকা ১৯৯৩ এ বিয়ে করেন আবার বিচ্ছেদ। অস্থির ব্যক্তিজীবন এর ছায়া পড়েছে ক্যারিয়ারে।
মাঝখানে কিছুদিন বিদেশে ছিলেন। মঞ্চে
যথেষ্ট সময় দিলেও টিভি নাটকে ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস ছিলেন না।
প্রযোজক বাবা র মেয়ে বিজরীর জন্য
“কোথাও কেউ নেই” ছিল টার্নিং পয়েন্ট।
কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ে, পড়াশুনা, সংসার, সবমিলিয়ে বিজরী র ক্যারিয়ার আর হয়ে ওঠেনি। অথচ নব্বই এর প্রিয়মুখদের মধ্যে বিজরী অন্যতম।
বিপাশার শর্ত ছিল গ্রাজুয়েশন এর আগে বিয়ে করবেন না। আর চারুকলার ছাত্রী বিপাশার অনার্স শেষ করতে লেগে যায় ১২ বছর। যার কারনে পড়াশুনা র পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়তে বিপাশার বেগ পেতে হয়নি। প্যাকেজ, বিটিভির কল্যাণে বিপাশা হয়েছেন নব্বই এর শীর্ষ মুখ।
অন্যদিকে শমী কেন শীর্ষে ছিলেন। অভিনয় অন্তঃপ্রাণ শমীর কাছে অভিনয় ছিল সবার আগে।
অনেক পাত্র শমীকে তার অভিনয় দেখে পছন্দ করতেন কিন্তু তারা কন্ডিশন দিতেন
বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু শমী সেইসব প্রস্তাব উপেক্ষা করেছেন অভিনয়কে ভালবাসতেন বলেই।
পরে যদিও এই অভিনয়জগতের মানুষদের থেকেই বেশি আঘাত পেয়েছেন তিনি।
তবুও নব্বই এর এই অভিনেত্রী তার পরবর্তী প্রজন্মের অনেক অভিনেত্রীর আইডল।
তাই বলা যায়, শমী, বিপাশার ডেডিকেশন তাদের এই অবস্থান গড়ে দিতে সাহায্য করেছে, তাদের পারিবারিক পরিচয় নয়।
©morshed niaz