অভিযোগ আছে, বিউটিকে বিয়ের পর হতেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল স্বামী খাইরুল ইসলাম।
জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের বড়তারা মন্ডলপাড়া গ্রামের মুসলিম আলী মন্ডল এর মেয়ে বিউটি বেগম (২৫) এর সাথে একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩০) এর ৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয় । বিয়ের পর হতেই যৌতুক ও বিভিন্ন কারনে স্বামী খায়রুল ইসলাম প্রায়ই স্ত্রীর সাথে ঝঁগড়া লাগত এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার ( ১৩ জুন) সকালে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধলে একপর্যায়ে খায়রুল ইসলাম তার স্ত্রী বিউটি বেগমকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারলে তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠে, অন্তঃসত্তা স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেখানে ২/১ দিন পর তার পেটে ব্যাথা উঠলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তার অভিভাবকবৃন্দ তাকে জয়পুরহাট গ্রীণ লাইফ ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। পরদিন সোমবার ( ১৪ জুন) পেটে ব্যথা অনুভব করে এবং গর্ভপাত ঘটে। এতে তার গর্ভের ৪ মাসের শিশুর মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসক জানান।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিউটির বাবা মুসলিম উদ্দিন মন্ডল বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে ক্ষেতলাল থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ) /৩০ তৎসহ ৩১৩/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করেন। মামলা নম্বর-১০
আসামী দুইজন হচ্ছে, বিউটির স্বামী খায়রুল ইসলাম (৩০) ও শ্বাশুড়ি খালেদা বেগম (৫০)।
ভুক্তভোগী বিউটি জানান, আমাকে সে নিবেনা। তাই সে বাচ্চা নিতে চায়না। সেজন্য লাথি মেরে আমার পেটের সন্তানকে মারে ফেলিছে। আমি বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহা আলম সাংবাদিকদেরকে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমি গত সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু আসামী খায়রুল পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করতে পারিনি তবে গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নীরেন্দ্র নাথ মন্ডলও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।