নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
বিডি ইউনিয়ন নিউজ
মোঃ আব্দুর রহমান
আইডি নংঃ৭২৮
২০শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার ফতুল্লা থানার পাগলার নয়ামাটি এলাকায় আয়েশা আক্তার আলফি(১৪) নামে এক শিক্ষার্থী বাড়ির ছাদে সমবয়সীদের সাথে খেলার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায়। যার ফলে ব্যাথা অনুভব করলে স্থানীয় পাগলা বাজার কামালপুরে অবস্থিত গ্রীন ডেলটা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলে হসপিটাল কতৃপক্ষ জানায়, পায়ের হাড় ভেংগে গেছে এবং অপারেশন করাতে হবে।
আলফির অভিভাবক এখানে অপারেশন করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও, তারা আস্থা দেয় তারা এটা সম্পন্ন করতে পারবে। ততক্ষন পর্যন্ত আলফি স্বাভাবিক ছিলো।
পরবর্তীতে অপারেশনের জন্য তাকে অজ্ঞান করার জন্য Anthesia ইনজেকশন পুশ করা হয় ভুল জায়গায়, যার ফলে কার্যকারিতা না পাওয়ায় তারা আবারো ইনজেকশন পুশ করে এবং ওভার ডোজের কারনে একপর্যায়ে কোমায় চলে যেতে থাকে আলভী। মূহুর্তের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে যায় আলভীর পুরো শরীর।
অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রীন ডেলটা কতৃপক্ষ জানায় আলফির আই.সি.ইউ সাপোর্ট লাগবে। যা তাদের এখানে না থাকায়, তারা তাদের অন্য শাখা ধোলাইপাড় ডেলটা হসপিটালে,যাত্রাবাড়ী শাখায় নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর আজ ২৩শে আগষ্ট সকালে আই.সি.ইউ রুমে আলফির বড় ভাই হাসিবুল হাসান শান্ত(২২) প্রবেশ করে দেখতে পায় যে ইতিমধ্যে আলফির সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে এবং পালস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিশ্চিত হন তার বোন আর নেই।
ডাক্তারদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় আলফির পরিবার অপেক্ষায় থাকে এবং একপর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর খবর আসে। এভাবেই ভুল চিকিৎসায় হারিয়ে যায়, এক দুরন্ত কিশোরী।
নামধারী ক্লিনিক খুলে ভুল চিকিৎসা প্রয়োগ করে রোগীর মৃত্যু দেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম নয়। তাছাড়া পাগলা বাজারে গ্রীন ডেলটা ক্লিনিকের নামে এর পূর্বেও অনেকের অভিযোগ রয়েছে, টেষ্ট রিপোর্ট ভুল দেয়া তাদের নিত্যদিনের ভুল।
আলফির ভাই শান্ত জানায়, অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেয়ার পূর্বেও আমার বোন স্বাভাবিক ছিলো, কথা বলছিলো। চোখের সামনে এভাবে হারিয়ে ফেললাম আমার বোনকে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
আলিফার এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশই উতপ্ত হয়ে উঠেছে নগরীর।