কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সময় প্রার্থীর বয়সে পাঁচ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদের আবেদনের সুযোগ দিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। তার আগে গত ডিসেম্বর থেকে চাকরিতে নিয়োগের নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি কমিশন। তবে ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে নন-ক্যাডারে বেশ কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ বছর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে গত ১ জুন পর্যন্ত। অনেকের চাকরির বয়স এ সময়ের মধ্যে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন। আগস্ট পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরির বয়স ৩০ বছরই থাকবে। যেহেতু নভেল করোনাভাইরাসে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, এখানেও এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে। আর বিসিএস প্রতি বছরই নভেম্বরে হয়। এখন যেহেতু নভেম্বর আসেনি, তাই সেখানে তো কোনো সমস্যা নেই।
গত মে মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক জরিপ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মার্চ-এপ্রিলে আগের বছরের তুলনায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনেক কমে যাওয়ার তথ্য দেয়া হয়। বাংলাদেশের জব পোর্টালগুলোতে এপ্রিলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিমাণ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৮৭ শতাংশ কমেছে। তার আগে মার্চে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এসেছে গত বছরের মার্চের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমা বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে শেষ পর্যন্ত তা সরকারের সাড়া পায়নি।