নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের বিশেষ আহব্বানে চিকিৎসা প্রত্যাশীদের সাথে চিকিৎসা সেবার নামে হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধের প্রতিবাদে নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠনের পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত করা হয়।
আজ ১৩ ই সেপ্টেম্বর দুপুর ১২.৩০মিনিটের সময় জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স হলে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে ৭দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক করেন বৃহত্তর নোয়াখালীর জনপ্রিয় সামাজিক “সংগঠন নিরাপদ নোয়াখালী চাই”
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে, সুবর্ণচর উপজেলা শাখার আহব্বায়ক ওমর ফারুক সুমনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার,নোয়াখালী।
বৈঠকের শুরুতে সংগঠনের চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান রাসেল ৭দফা দাবি উপস্থাপন করে বলেন,জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা আজ আন্দোলন সাময়িক ভাবে স্থগিত করলাম। কিন্তু আগামী ১৫দিনের মধ্যে আমাদের প্রস্তাবিত ৭দফা দাবি বাস্তবায়নে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে বৃহত্তর নোয়াখালীর তরুণ প্রজম্মসহ নোয়াখালীতে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার শিকার শতশত পরিবার নিয়ে রাজপথে কঠিন আন্দোলন করা হবে।
অপরদিকে,নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠনের প্রস্তাবিত ৭দফা দাবি মেনে নিয়ে জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে আগামী ১৫কার্যদিবসে মধ্যেই আমরা বিহীত ব্যবস্থা নেবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার বলেন,আমি নোয়াখালীতে আসার পর থেকেই নোয়াখালীর চিকিৎসা প্রত্যাশী মানুষের কলাণে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করে যাচ্ছি ইতোমধ্যে কয়েকটি অনিবন্ধিত ক্লিনিকের চাবিও আমরা জব্দ করেছি। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের সংগঠনের প্রস্তাবিত ৭দফা দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেস আমরা অবিচল কাজ করে যাবো।
নিরাপদ নোয়াখালী চাই এর প্রস্তাবিত ৭দফা দাবি সমূহঃ
১.চার বছরের শিশু মেহেবার এর সাথে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক সিলগালা ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার গনের নিবন্ধন স্থায়ীভাবে বাতিল করতে হবে।
২.নোয়াখালী হাসপাতাল রোডে ব্যাঙের ছাতার মগ গড়ে উঠা অনুমোদন বিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোকে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।
৩.সার্জারী ডাক্তার বিহীন যেকোনো ধরনের অপারেশন বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৪.সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ডাক্তারদের সনদপত্র আছে কিনা,তাহা যাচাই পূর্বক প্রকৃত ডাক্তারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫.পরীক্ষার নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে বিবেক বর্জিত রক্তচোষা চিকিৎসা বাণিজ্য স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।
৬.সরকার অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন হাসপাতাল,ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেন রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষন করতে না পারে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৭.নোয়াখালীতে চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রত্যাশী অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা ও হয়রানী বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।