কভিড পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিতে হবে : অর্থমন্ত্রী

কভিড পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিতে হবে : অর্থমন্ত্রী

102 2

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় আমাদের একটি সু-সমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। জাতিসংঘ এক্ষেত্রে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কঠিন যাত্রায় জি-৭ এবং জি-২০ এবং ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জাতিসংঘের উপ-সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ এবং জামাইকার অর্থ ও পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী নাইজেল ক্লার্কের সঙ্গে জাতিসংঘ আয়োজিত অর্থমন্ত্রীদের এক যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সভার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল কভিড-১৯ সংকটের ভয়াবহ পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে নীতিগত বিকল্পগুলোর একটি কার্যকরী তালিকা নিয়ে আলোচনা করা এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল এবং টেকসই বৈশ্বিক আর্থিক আর্কিটেকচার তৈরি করা।

২০২০ সালের ২৮ মে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কানাডা ও জামাইকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফাইনআন্সিং ফর দি ডেভেলপমেন্ট ইন দি এরা অব কভিড-১৯ এ্যান্ড বিইয়ন্ড শুরু করেন। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও রেমিট্যান্স, কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি; টেকসই পুনরুদ্ধার; বৈশ্বিক আর্থিক তারল্য এবং স্থিতিশীলতা; ঋণ ঝুঁকি; বেসরকারি খাতের ঋণদাতাদের অন্তর্ভুক্তি এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি আলোচনা গ্রুপ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেই থেকে বিভিন্ন গ্রুপ সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রয়োজন বিবেচনা করে বিকল্পগুলোর একক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী তালিকা তৈরির কাজ করছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা গ্রুপ-১-এ সহ-নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিশর, জাপান এবং স্পেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈদেশিক অর্থ ও রেমিট্যান্স, চাকরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অগ্রাধিকারগুলোর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিনিয়োগ, এলডিসি এবং উত্তরণরত দেশগুলোর জন্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, এসডিজির অর্থায়ন ইত্যাদিসহ বাস্তবক্রিয়া এবং নীতিমালার সুপারিশ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো দশমিক ৭ শতাংশ ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। এই অর্থায়ন কভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের সহায়তা করছে।

বৈঠকে জাতিসংঘের ষাটের বেশি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীরা, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মন্ত্রীদের আলোচনাগুলো ২৯ শে সেপ্টেম্বর ৭৫তম ইউএন উচ্চ-স্তরের ভার্চুয়াল বৈঠকে সরকার প্রধান/রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে জমা দেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan