মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় আবুধাবির যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবি জানিয়েছেন ফ্রান্সের ইমাম ফোরামের প্রধান হাসান শালগুমি।
শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষস্থানীয় আরবি পত্রিকা ‘আল বায়ান’কে হাসান শালগুমি এ কথা বলেন।
ইউরোপের সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিন জায়েদকে মনোনয়ন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর উপ-প্রধান কমান্ডার ও আবুধাবির যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদকে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী সাহসী নেতা’ ও ‘শান্তিতে নোবেল পাওয়ার অধিক উপযুক্ত’ বলে দাবি করেন ফ্রান্সের ‘ইউনিয়ন অব পিপলস ফর পিস’-এর প্রধান ও সাইনসেন্ট ডেনিসের ইমাম হাসান শালগুমি।
শালগামি বলেন, ‘আমিরাত-ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক চুক্তি এই অঞ্চল ও পুরো বিশ্বের জন্য ঐতিহাসিক এক চুক্তি। মধ্যপ্রাচ্যের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে শান্তি, উদারতা ও সহযোগিতার আদলে সবার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে।’
ফ্রান্সের ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হাসান শালগুমি বলেন, ‘মুহাম্মাদ বিন জায়েদ শান্তিপ্রিয় লোক। আগামী দিনের বিশ্বে তার গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপক ভূমিকা থাকবে। তাই আমরা তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন করার দাবি জানাই। এটি হবে আমিরাতের উদার ধর্ম, সভ্যতা-সংস্কৃতির ইতিহাসে এক বিরল সংযোজন। পৃথিবীর সব সম্প্রদায়ের কাছে তা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
শালগুমি আরো বলেন, আমিরাত-ইসরায়েলের সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব স্থগিত করা হয়। এতে করে উগ্রবাদীদের সহিংসতার পথ বন্ধ হবে এবং উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার রুদ্ধ দ্বার উম্মোচিত হবে। তাছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানও বের হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে ৭০ বছর ধরে সংঘাত চলছে। কিন্তু যুদ্ধ-সংঘাত আর কত? তবে সংঘাতের পথ ধরে যা সম্ভব না, শান্তি প্রক্রিয়ায় এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু করা সম্ভব।’
চুক্তিটি আরব বিশ্বের পুরো চিত্র বদলে দেবে বলে আশা করেন শালগুমি। তার মতে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসলামফোবিয়ারোধে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি শত্রু মনোভাব কমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল-আমিরাত স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে ‘শান্তি চুক্তি’ ঘোষণা দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোলাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার সহায়তায় আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে আরব আমিরা ও ইসরায়েল স্বাভাবিক সম্পর্কের ঘোষণা দেয়।