ক্যালেন্ডারের পাতায় ভাদ্র মাস। অথচ টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের তাণ্ডবে নাজুক অবস্থা উপকূলে। বাঁধ ভেঙে তলিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ডুবছে বসতভিটা আর লোকালয়। টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে একের পর এক ভাঙছে উপকূলীয় অঞ্চলের বাধ। তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সাতক্ষীরার প্রতাপনগরের ইউনিয়নের বাধ ভেঙেছে ১৫টি পয়েন্টে। তিনদিন ধরে পানির নিচে জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। আশাশুনির পর প্লাবিত হয়েছে শ্রীউলা ও শ্যামনগরের নিম্নাঞ্চলগুলো। বসতভিটা, স্কুল সব যেন দাঁড়িয়ে আছে দ্বীপের মতো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সাতক্ষীরাতেই। বাঁধ ভেঙেছে খুলনায়ও। জোয়ারের পানিতে ডুবছে লোকালয়। ডুবে গেছে কয়রা ও পাইকগাছার ১৫ টি গ্রাম। দুদিন আগে বেড়িবাঁধটি মেরামত করা হলেও পানির তোড়ে ভেঙেছে আবার। উন্নতির খবর নেই ভোলাতেও। পূর্ব ইলিশায় ৪০ মিটার বেশি বাধ ভেঙে গ্রামে ঢুকছে পানি। তবে সংস্কারের উদ্যোগ নেই এখনও। বরগুনার চিত্রও অভিন্ন। জলাবদ্ধতা বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে। টানা বৃষ্টিতে মূল সড়ক থেকে অলিগলিও ডুবেছে পানিতে। দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। একই অবস্থা চট্টগ্রাম মহানগরীতে। পানি জমে ব্যাহত হচ্ছে জনসাধারনের জীবনযাত্রা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে যে বৃষ্টিপাত, তা আরও দুয়েকদিন থাকতে পারে। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত, ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ মিলিমিটার। সোমবার নাগাদ বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমতে পারে। তবে মেঘলা আবহাওয়া থাকবে আরও চার-পাঁচদিন।