নেইমারের মতো তারকাকে ছেড়ে দেয়ার পর বড় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল বার্সেলোনার। তারই স্বদেশি ফিলিপ কৌতিনহোকে দিয়ে সেই অভাব ঘুচানোর চিন্তা ছিল ব্লুগ্রানাদের। সেই চিন্তা থেকেই ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকারকে দলে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্লাবটি।
২০১৮ সালে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল থেকে কৌতিনহোকে দলে ভেড়ায় বার্সা। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি এই খেলোয়াড়কে কিনতে এমনকি ইংলিশ জায়ান্টদের বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ইউরোও পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের।
প্রত্যাশা তো আকাশচুম্বীই ছিল। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতা মেলেনি। লিভারপুল ছেড়ে কাতালুনিয়ায় আসার পর থেকে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন কৌতিনহো। টানা ব্যর্থতার জেরে একসময় তাকে ধারে বায়ার্নে পাঠিয়ে দেয় বার্সা। বাভারিয়ানরা তাকে নিতে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে।
কিন্তু সেখানে গিয়েও ভাগ্যবদল হয়নি। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের মূল একাদশে নিয়মিত হতে ব্যর্থ হন কৌতিনহো। লিভারপুল থেকে যে দামে বার্সা কিনেছিল, একই দামে কৌতিনহোকে স্থায়ীভাবে কেনার সুযোগ ছিল বায়ার্নের হাতে। কিন্তু যার একাদশেই জায়গা হচ্ছে না, তাকে রেখেই কী লাভ! কৌতিনহোর তাই বার্সায় ফেরার সময় হয়ে গেছে।
এই কৌতিনহো ফের আলোচনায় আসলেন চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে। বার্সা থেকে ধারে বায়ার্নে খেলছেন, নিজের ক্লাবের বিপক্ষেই ম্যাচ! আলোচনা তো হবেই!
সেই আলোচনায় রং ছড়ালেন কৌতিনহো নিজেই। দুই ক্লাবে উপেক্ষিত এই তারকা শুক্রবার আলো ঝলমলে এক রাত উপহার দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় মঞ্চে। বার্সাকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ রীতিমত ছেলেখেলায় মাতলো, সেখানেও মূল একাদশে ছিলেন না কৌতিনহো। বরং শেষের দিকে মাত্র ১৫ মিনিট সময়েই যা দেখানোর দেখিয়ে দিলেন।
বায়ার্নের ৮-২ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে নিজে করলেন শেষ দুই গোল, একটি গোল করালেন লেভানদোভস্কিকে দিয়ে। এরপর আর কি মুখে জবাব দেয়ার দরকার পড়ে!