উল্লেখ,নারায়ণগঞ্জ এর রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকান্ডের সূএপাত হয় একতলায়,তার পর সময় যত বাড়তে থাকে ক্যামিকেল এর কারণে আগুনও বাড়তে থাকে,আস্তে আস্তে একতলা থেকে ছয়তলা, পুরো কারখানায় জ্বলছে আগুন,সন্ধায় প্রথমে ৫ টি ইউনিট রাত বাড়তে থাকে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে যোগ হয় আরো ৭ টি ইউনিট, ১২ টা ইউনিটে ভোর হয়ে যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে না,যোগ হয় আরো ৬ টি ইউনিট, ১৮ টি ইউনিটের ২২ ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন, ততক্ষনে শত শত মানুষের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়,অনেকের দাবি আগুন লাগার পরও কারখানার মেইন গেট এবং সাধে উঠার গেট ও তালা ছিল,রাতে কিছু মানুষের ৪ তলা থেকে ইশারা ছিল সকালে তা ও আগুনে পুরে কয়লা হয়ে থেছে,আজ দুপুর ৩ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়নগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী জানান তারা এখন পর্যন্ত ৫৫ জন এর মরদেহ উদ্ধার করেছে, এবং লাশ গুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ১০০ জন এর উপরে মানুষ আহত হয়েছে,তার মধ্যে ২৫ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়ছে, উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান আছে ৫ তলা এবং ৬ তলা থেকে ধুয়া বের হচ্ছে,এ দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামিম বেপারি জানান সরকারি নিয়ম মোতাবেক নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার এবং যারা আহত হয়েছে তাদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে,যাদের স্বজন নিখোঁজ আছে তাদের ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন,যাতে করে ডিএনএ টেস্ট করে লাশ এর পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা যায়,কারণ লাশ এমন ভাবে পুড়েছে কয়লার মতো হয়ে গেছে,কারো চেহারা চিনার উপায় নেই।এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়ছে,এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক পক্ষ হইতে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।