ভোলার চরফ্যাশনে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে দুই ভাই হত্যা কান্ডের ভাড়াটে কিলার ট্রাক চালক শরীফুল ইসলাম শরীফকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

ভোলার চরফ্যাশনে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে দুই ভাই হত্যা কান্ডের ভাড়াটে কিলার ট্রাক চালক শরীফুল ইসলাম শরীফকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

180948027 2975535176003907 790901299494110066 N

জাবেদ ভোলা জেলা প্রতিনিধি ৯৬৩)ভোলার চরফ্যাশনে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে দুই ভাই হত্যা কান্ডের ভাড়াটে কিলার ট্রাক চালক শরীফুল ইসলাম শরীফকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ মে) তাকে ভোলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। পরে আদালতে স্বীকাররোক্তিমূলক বক্তব্য দেয় ওই ভাড়াটে কিলার। শরীফকে সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম কাপ্তানবাজার রাস্তার মাথা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদেও জানান , এই হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক বিল্লাল হোসেন, তার ভাই কাসেম ও ভগ্নিপতি আবু মাঝিকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়ে ছিল। এরা হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এদের বক্তব্য অনুযায়ী ভাড়াটে কিলার শরীফকে আটকে পুলিশ অভিযান চালায়। গত মাসের ৭ এপিল চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল শীল ও তার ভাই তপন শীল তাদের ৬৫ শতাংশ জমি ২৫ লাখ টাকায় আসলামপুর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেন, আবুল কাশেম ও আবু মাঝির কাছে বিক্রি করেন। জমির দলিল করার পর টাকা না দিয়ে দুই ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতকরা। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চট্টগ্রামের ট্রাক চালক শরীফকে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে হত্যার কাজে নিয়োগ করে। তবে শরীফ পুলিশকে জানায়, ওই টাকাও এখন পান নি। চুক্তি অনুযায়ী তপন ও দুলালকে আসলামপুর এলাকার একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির বাগানে প্রথমে দুই ভাইকে হাতপা বেধে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। ওই দুই ভাইয়ের দেহ প্রথমে পুড়িয়ে চিহ্ন মুছে ফেলার চেস্টা করা হয়। অপরদিকে মাথা দুটিকে এলাকার মহিউদ্দিনের সেফটিক টেংকিতে লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনার ১৪ দিন পুর পুলিশ ঘাতক বিল্লাল , কাশেম ও আবু মাঝির স্বীকাররোক্তিতে মাথা দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। ডিএনএ টেস্টে দুই ভাইয়ের পরিচয় নিশ্চিত হয়। পুলিশের কাছেও শরীফ হত্যার বিবরণ তুলে ধরে। এদিকে দুলাল শীল ও তপন শীল কয়েক বছর আগ থেকে এরাকা ছাড়া ছিলেন। তপনের চিকিৎসার জন্য এরা ভারতে যায়। এর পর কবে দেশে ফিরেছে তাও জানতে পারেন নি স্থানীয়রা। তবে দুটি আগুনে পোড়া দেহ উদ্ধারের পর সহকারী পুলিশ সুপার সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রহস্য উদঘাটে টাকা ১৪ দিন অভিযান চালিয়ে প্রথম ঘাতক কাশেমকে আটক করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাথা উদ্ধার করা হয়। এর পরেই আটক করা হয় মূল ঘাতক বিল্লাল ও আবু মাঝিকে। ভারতে থেকে দেশে আসার পর প্রথমে দুই ভাইকে এদের চট্টগ্রামে বিল্লালের ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ এপ্রিল রাতে এদের হত্যার জন্য এলাকায় আনা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এদের কাছ থেকে জমির দলিল লিখে নেয় বিল্লাল গ্রুপ।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan